আপেল আম, যা “আপেল ম্যাংগো” নামেও পরিচিত, একটি অনন্য আমের জাত যা তার মিষ্টি স্বাদ, কচকচে ভাব এবং আপেলের মতো সুগন্ধির জন্য বিখ্যাত। এই জাতটি বাংলাদেশে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, কারণ এটি চাষ করা তুলনামূলকভাবে সহজ এবং লাভজনক।
গাছের বৈশিষ্ট্য:
- উচ্চতা: আপেল আম গাছ 10 থেকে 20 ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।
- পাতা: পাতাগুলি গাঢ় সবুজ রঙের এবং লম্বাটে আকৃতির।
- ফুল: ফুলগুলি সাদা রঙের এবং ছোট ছোট থোকায় থাকে।
- ফল: ফলগুলি গোলাকার এবং 1 থেকে 2 কেজি ওজনের হতে পারে।
- রঙ: পাকলে ফলের রঙ হলুদ-সবুজ এবং ভেতরে থাকে হালকা কমলা রঙের গর।
- স্বাদ: আপেল আমের স্বাদ অত্যন্ত মিষ্টি এবং কচকচে। এতে আপেলের মতো একটি সুগন্ধি রয়েছে।
চাষের পদ্ধতি:
- মাটি: আপেল আম গাছ দোঁয়াশ মাটিতে ভালো জন্মে।
- জলবায়ু: গাছটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলবায়ুতে ভালো জন্মে।
- রোপণ: বীজ, কলম বা চারা থেকে গাছ রোপণ করা যায়।
- সার প্রয়োগ: নিয়মিতভাবে সার প্রয়োগ করতে হবে।
- পরিচর্যা: গাছে নিয়মিত পানি দিতে হবে এবং আগাছা পরিষ্কার করতে হবে।
- রোগ ও পোকামাকড়: গাছে বিভিন্ন রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ হতে পারে। নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
ফলন:
- সময়: গাছ রোপণের 3 থেকে 4 বছর পর ফলন শুরু হয়।
- পরিমাণ: প্রতিটি গাছে 50 থেকে 100 টি ফল ধরতে পারে।
বাজার:
- চাহিদা: আপেল আমের বাজারে প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
- মূল্য: বাজারে প্রতি কেজি আপেল আম 100 থেকে 200 টাকায় বিক্রি হয়।
উপকারিতা:
- ফলের স্বাদ: আপেল আম গাছের ফল মধুর এবং মিষ্টি, যা আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত এবং জনপ্রিয়। এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রস্তুতি থাকে, যা স্বাস্থ্যকর এবং সংক্রান্ত রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
- আয়োজন এবং ব্যবসায়িক মানসম্পন্নতা: আপেল আম গাছ ব্যবসায়ের দিকে অত্যন্ত জনপ্রিয়, কারণ এগুলি বহুপ্রজনন এবং সহজেই পরিচালিত হয়। এই গাছগুলি বহু বছর ধরে ফল দেয় এবং তাদের সংরক্ষণ সহজ করা যায়।
- প্রবেশযোগ্যতা: আপেল আম গাছ সাধারণত প্রচুর সূর্যালো এবং প্রচুর পানি প্রয়োজন করে, তাই এগুলি প্রধানত গর্ম অঞ্চলে উত্থান করা হয়।