Posted on Leave a comment

তাজমহল টাটা গোলাপ গাছ: রুপ, গন্ধ, এবং ইতিহাসের এক অপূর্ব মিশ্রণ

Tajmohol Rose Plant

তাজমহল টাটা গোলাপ গাছ, নামটি শুনলেই মনে ভেসে ওঠে অপরূপ সৌন্দর্য্য এবং মনোমুগ্ধকর সুবাসের এক অপূর্ব মিশ্রণ। এই গোলাপ গাছটি তার মনোমুগ্ধকর রুপের জন্য সারা বিশ্বে সমাদৃত।

উৎপত্তি:

তাজমহল টাটা গোলাপ গাছটি ভারতের টাটা গোলাপ গবেষণা কেন্দ্রে ১৯৯৮ সালে উদ্ভাবিত হয়েছিল। এই গাছটি ‘মিরান্ডা’ এবং ‘পাপা মেলান্ড’ নামক দুটি গোলাপ গাছের সংকরায়নের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছিল।

বৈশিষ্ট্য:

  • ফুল: তাজমহল টাটা গোলাপ গাছের ফুলগুলি হালকা গোলাপি রঙের এবং পাতলা দো-পাঁচ পাপড়ি সমৃদ্ধ।
  • সুবাস: এই গোলাপ গাছের ফুলগুলির সুবাস অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর এবং তীব্র।
  • ফুলের আকার: তাজমহল টাটা গোলাপ গাছের ফুলগুলি ৯-১০ সেন্টিমিটার ব্যাসের হয়।
  • ফুল ফোটার সময়: এই গাছটি বছরে দু’বার, শীতকালে এবং বসন্তকালে ফুল ফোটায়।
  • গাছের উচ্চতা: তাজমহল টাটা গোলাপ গাছ ১-১.৫ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে।
  • পাতা: এই গাছের পাতাগুলি গাঢ় সবুজ রঙের এবং চকচকে।

চাষ:

তাজমহল টাটা গোলাপ গাছ চাষ করা তুলনামূলকভাবে সহজ।

  • মাটি: এই গাছটি দো-আঁশ মাটিতে ভালো জন্মে।
  • রোদ: এই গাছের জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৬ ঘন্টা রোদের প্রয়োজন।
  • পানি: গাছের গোড়ায় নিয়মিত পানি দিতে হবে।
  • সার: নিয়মিত সার প্রয়োগে গাছের বৃদ্ধি এবং ফুল ফোটায় সাহায্য হয়।

ব্যবহার:

  • বাগানে সৌন্দর্য বৃদ্ধি: তাজমহল টাটা গোলাপ গাছ বাগানে অসাধারণ সৌন্দর্য্য বর্ধন করে।
  • ফুলের তোড়া তৈরি: এই গোলাপ গাছের ফুল দিয়ে অসাধারণ ফুলের তোড়া তৈরি করা যায়।
  • সুগন্ধি তেল তৈরি: তাজমহল টাটা গোলাপ গাছের ফুল থেকে সুগন্ধি তেল তৈরি করা হয়।
Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *