Description
Orange Plant
কমলা: পরিচিতি, উপকারিতা, চাষ ও পরিচর্যা
পরিচিতি
কমলা (Orange Plant ) একটি জনপ্রিয় সাইট্রাস জাতীয় ফল, যা স্বাদে মিষ্টি এবং পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এটি বিশ্বব্যাপী অন্যতম জনপ্রিয় ফল, যা তাজা খাওয়া হয় এবং জুস, মিষ্টান্ন ও রান্নার উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। Orange Plant
বৈজ্ঞানিক নাম: Citrus sinensis
পরিবার: Rutaceae
উৎপত্তি: চীনে উৎপত্তি হলেও বর্তমানে এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যাপকভাবে চাষ হয়।
আকার ও রঙ: কমলা ফল সাধারণত গোলাকার ও মাঝারি আকৃতির হয়, যা পাকলে উজ্জ্বল কমলা রঙ ধারণ করে।
স্বাদ: এটি মিষ্টি ও হালকা টক স্বাদের হয়।Orange Plant
কমলার উপকারিতা
কমলা পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এর কিছু প্রধান উপকারিতা নিচে দেওয়া হলো—
১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
কমলায় প্রচুর ভিটামিন সি থাকে, যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়।
২. হজমশক্তি উন্নত করে
কমলায় উচ্চমাত্রার ফাইবার রয়েছে, যা হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
৩. হার্টের জন্য উপকারী
কমলায় থাকা পটাশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
৪. ত্বক ও চুলের যত্নে সহায়ক
ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক উজ্জ্বল করে ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
৫. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে
কমলায় থাকা প্রাকৃতিক শর্করা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৬. ওজন কমাতে সহায়ক
কমলায় ক্যালোরি কম কিন্তু ফাইবার বেশি থাকায় এটি ক্ষুধা কমায় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
কমলা গাছ লাগানোর নিয়ম
১. উপযুক্ত মাটির ধরন
দোআঁশ বা বেলে-দোআঁশ মাটি কমলার জন্য আদর্শ।
মাটির pH ৫.৫-৭.৫ হলে ভালো ফলন হয়।
পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ভালো থাকতে হবে।
২. চারা লাগানোর সময় ও পদ্ধতি
- যেকোনো সময় গাছ লাগানো যায়।
- তবে নিয়মিত পানি দিতে হবে।
- টবে বা মাঠে লাগানো যায়।
৮-১০ ফুট দূরত্ব রেখে চারা লাগাতে হবে, যাতে গাছ পর্যাপ্ত আলো ও বাতাস পায়।
চারা রোপণের পরপরই পানি দিতে হবে এবং গাছের চারপাশ মালচিং করা ভালো।
৩. সেচ ব্যবস্থা
শুষ্ক মৌসুমে প্রতি সপ্তাহে ২-৩ বার পানি দিতে হবে।
বর্ষাকালে অতিরিক্ত পানি জমতে দেওয়া যাবে না।
ফুল ও ফল আসার সময় নিয়মিত সেচ দিলে ফলন ভালো হয়।
৪. সার ব্যবস্থাপনা
প্রতি বছর গাছের বয়স অনুযায়ী ৫-১০ কেজি জৈব সার (কম্পোস্ট বা গোবর সার) দিতে হবে।
প্রতি ৩ মাস অন্তর ১০০-২০০ গ্রাম ইউরিয়া, ১৫০ গ্রাম টিএসপি ও ১০০ গ্রাম পটাশ সার দিতে হবে।
ফুল ও ফল ধরার সময় জিঙ্ক ও বোরন সার দিলে ফলের আকার ও স্বাদ ভালো হয়।
কমলা গাছের পরিচর্যা
১. ছাঁটাই ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা
পুরনো ও রোগাক্রান্ত ডালপালা কেটে ফেলতে হবে।
অতিরিক্ত ঘন শাখা ছেঁটে দিলে আলো-বাতাস চলাচল ভালো হয়।
গাছের চারপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে, যাতে রোগবালাই না ছড়ায়।
২. রোগবালাই ও পোকামাকড় দমন
সাইট্রাস ব্লাইট (পাতা শুকিয়ে যাওয়া), গ্রীনিং ডিজিজ (ফলের আকার ছোট হওয়া) ও পাউডারি মিলডিউ (সাদা ছত্রাক) রোগ হতে পারে।
কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করা যেতে পারে।
জৈব পদ্ধতিতে নিম তেল বা রসুনের স্প্রে ব্যবহার করা ভালো।
৩. পরাগায়ন ও ফল ধরানো
মৌমাছি ও অন্যান্য পরাগায়নকারী পোকামাকড় কমলার পরাগায়নে সাহায্য করে।
ফুল আসার সময় পানি ও পুষ্টি সরবরাহ ঠিকঠাক থাকলে ফলন ভালো হয়।
৪. ফল সংগ্রহ ও সংরক্ষণOrange Plant
ফুল আসার ৬-৮ মাস পর ফল সংগ্রহ করা যায়।
ফল যখন উজ্জ্বল কমলা রঙের হয়, তখন এটি সংগ্রহের জন্য প্রস্তুত।
পাকা ফল ১০-১৫ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়, তবে দীর্ঘদিন সংরক্ষণের জন্য ঠান্ডা স্থানে রাখতে হয়।
উপসংহার
কমলা একটি পুষ্টিকর, সুস্বাদু এবং সহজেই চাষযোগ্য ফল। এটি বাণিজ্যিক ও ব্যক্তিগতভাবে চাষের জন্য অত্যন্ত লাভজনক। সঠিক পরিচর্যা ও যত্ন নিলে কমলার গাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে ফলন পাওয়া সম্ভব।
Know More Details Just Call- 01861543144
Got Nursery Related Tips and Trikes Please Join Our Facebook Group
Reviews
There are no reviews yet.