Description
Apricot Fruit Tree Plant
এপ্রিকট (Apricot) একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল, যা মূলত মধ্য এশিয়া এবং চীন থেকে উদ্ভূত হলেও বর্তমানে এটি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চাষ হচ্ছে। বাংলায় একে অনেক সময় “খুবানি” বা “জর্দালু” নামেও ডাকা হয়। নিচে এপ্রিকট সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো Apricot Fruit Tree Plant
১. এপ্রিকট ফলের পরিচিতি:
-
বৈজ্ঞানিক নাম: Prunus armeniaca
- পরিবার: Rosaceae
- জাত: পিচ ও চেরির ঘনিষ্ঠ আত্মীয়
- রং: সাধারণত হালকা হলুদ থেকে কমলা রঙের
- আকার ও গঠন: ছোট, গোল বা ডিম্বাকৃতির ফল
- স্বাদ: টক-মিষ্টি মিশ্রণযুক্ত
এপ্রিকট ফল তাজা খাওয়া যায়, এছাড়া এটি শুকিয়ে ড্রাই ফ্রুট হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। জ্যাম, জেলি ও মিষ্টান্ন তৈরিতে এটি ব্যবহৃত হয়।
২. এপ্রিকটের উপকারিতা:
- চোখের যত্নে: এতে থাকা ভিটামিন A ও বিটা-ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
- ত্বকের জন্য: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন C ত্বকের জৌলুস বৃদ্ধি করে এবং বয়সের ছাপ রোধ করে।
- হজমের জন্য: ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
- হৃদযন্ত্রের যত্নে: পটাশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদরোগ প্রতিরোধে কার্যকর।
- রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে: আয়রন ও কপার থাকার ফলে এটি রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে সহায়ক।
- ওজন কমাতে: কম ক্যালোরি ও উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি ডায়েটিংয়ে সহায়তা করে।
৩. এপ্রিকট গাছ লাগানোর নিয়ম:
জায়গা ও মাটি:
- উঁচু, পানি নিষ্কাশন সুবিধাযুক্ত জায়গা বেছে নিতে হবে।
- দোআঁশ বা বেলে দোআঁশ মাটি সবচেয়ে উপযোগী।
- pH মান: ৬.০ – ৭.৫
আবহাওয়া:
- শীতপ্রধান বা মৃদু ঠাণ্ডা অঞ্চলে ভালো জন্মায়।
- ফল ধরার জন্য কিছুটা ঠাণ্ডা প্রয়োজন (চিলিং আওয়ার)।
চারা রোপণ পদ্ধতি:
-
- যেকোনো সময় গাছ লাগানো যায়।
- তবে নিয়মিত পানি দিতে হবে।
- টবে বা মাঠে লাগানো যায়।
- গর্তের আকার: ২ ফুট গভীর ও ২ ফুট প্রশস্ত
- গর্তে গোবর, কম্পোস্ট, কিছু ফসফেট সার মিশিয়ে রোপণ করুন
- চারা রোপণের পর ভালোভাবে পানি দিন
৪. এপ্রিকট গাছের পরিচর্যা:
সেচ:
- গ্রীষ্মকালে নিয়মিত পানি দিতে হবে, তবে অতিরিক্ত পানি দেয়া যাবে না।
- বর্ষাকালে অতিরিক্ত পানি জমে থাকলে তা নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
সার প্রয়োগ:
- বছরে ২ বার জৈব সার ও NPK সার প্রয়োগ করুন।
- ফুল ও ফল আসার আগে পটাশ ও ফসফেট দিতে হবে।
ছাঁটাই:
- গাছের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ও ফলন বাড়াতে বছরে একবার ছাঁটাই করুন (শীতকালে)।
পোকামাকড় ও রোগবালাই:
- ফলের মাছি, শুঁয়োপোকা, ছত্রাকজনিত রোগ দেখা দিতে পারে।
- নিয়মিত কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
৫. ফল সংগ্রহ:
- ফুল ফোটার ৩-৪ মাস পর ফল পরিপক্ব হয়।
- সম্পূর্ণ হলুদ বা কমলা রঙ ধারণ করলে ফল সংগ্রহ করা যায়।
উপসংহার:
এপ্রিকট একটি পুষ্টিকর, রুচিকর এবং অর্থনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ ফল। সঠিক নিয়মে গাছ লাগানো ও পরিচর্যার মাধ্যমে ঘরে বসেই ফল সংগ্রহ করা সম্ভব। যারা ছোট বাগান করতে চান বা বাণিজ্যিকভাবে ফলের চাষ করতে চান, তাদের জন্য এপ্রিকট একটি দারুণ সম্ভাবনাময় ফল।
Know More Details Just Call- 01861543144
Got Nursery Related Tips and Trikes Please Join Our Facebook Group
Reviews
There are no reviews yet.