Description
Persimmon Fruit Plant
পার্সিমন (Persimmon) ফলের পরিচিতি, উপকারিতা, চাষ ও পরিচর্যা
পরিচিতি
পার্সিমন (Diospyros spp.) একটি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ফল, যা প্রধানত এশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকায় জনপ্রিয়। এটি দেখতে টমেটোর মতো, রঙে উজ্জ্বল কমলা বা হলুদ এবং স্বাদে মিষ্টি ও হালকা টক হয়ে থাকে।Persimmon Fruit Plant
বৈজ্ঞানিক নাম: Diospyros kaki (সাধারণত এশিয়ান পার্সিমন)
পরিবার: Ebenaceae
উৎপত্তি ও বিস্তার:
পার্সিমনের উৎপত্তি চীন ও জাপানে, কিন্তু বর্তমানে এটি বিশ্বব্যাপী চাষ হচ্ছে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, কোরিয়া, স্পেন, ব্রাজিল ও ভারতেও।
পার্সিমন ফলের উপকারিতা Persimmon Fruit Plant
পার্সিমন ফলের পুষ্টিগুণ অসাধারণ, যা শরীরের জন্য অনেক উপকারী—
1. হৃদযন্ত্রের সুরক্ষা – এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফ্ল্যাভোনয়েড থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
2. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় – এতে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে।
3. হজমশক্তি উন্নত করে – এতে প্রচুর ফাইবার থাকায় এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং পরিপাকতন্ত্রের জন্য উপকারী।
4. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে – কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকার কারণে এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
5. ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে – পার্সিমন ভিটামিন এ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা ত্বকের বার্ধক্য প্রতিরোধে সহায়তা করে।
6. ওজন কমাতে সাহায্য করে – এতে ক্যালোরির পরিমাণ কম এবং ফাইবার বেশি থাকায় এটি স্বাস্থ্যকর ওজন ব্যবস্থাপনায় সহায়ক।
পার্সিমন গাছ লাগানোর নিয়ম
পার্সিমন গাছ সহজেই বিভিন্ন জলবায়ুতে জন্মাতে পারে, তবে কিছু বিশেষ শর্ত মানলে ভালো ফলন পাওয়া যায়।
1. মাটির ধরন:
ভাল নিষ্কাশনযুক্ত, দোআঁশ বা বেলে দোআঁশ মাটি সবচেয়ে উপযুক্ত।
মাটির pH ৬.০-৭.৫ এর মধ্যে হলে ভালো ফল দেয়।
2. বীজ বা চারা রোপণ:
পার্সিমন গাছ বীজ, কলম বা গ্রাফটিং পদ্ধতিতে চাষ করা যায়।
কলম বা গ্রাফটিং করা চারা দ্রুত ফল দেয়।
- যেকোনো সময় গাছ লাগানো যায়।
- তবে নিয়মিত পানি দিতে হবে।
- টবে বা মাঠে লাগানো যায়।
3. সঠিক দূরত্ব বজায় রাখা:
পার্সিমন গাছ বড় হয়, তাই ১৫-২০ ফুট দূরত্বে চারা রোপণ করতে হবে।
4. সার প্রয়োগ:
প্রতি বছর গাছের বয়স অনুযায়ী ৫-১০ কেজি জৈব সার, ২০০-৩০০ গ্রাম ইউরিয়া, ২৫০ গ্রাম টিএসপি ও ১৫০ গ্রাম এমওপি প্রয়োগ করা উচিত।
ফল ধরার সময় অতিরিক্ত জৈব সার প্রয়োগ করলে ভালো ফলন হয়।
5. সঠিক সেচ ব্যবস্থা:
গ্রীষ্মকালে গাছে নিয়মিত পানি দিতে হবে।
বর্ষার সময় অতিরিক্ত পানি জমতে দেওয়া যাবে না।
পার্সিমন গাছের পরিচর্যা
1. প্রতিবছর ছাঁটাই করা – গাছের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ও ফলন বাড়াতে পুরনো ও অপ্রয়োজনীয় ডালপালা কেটে দিতে হবে।
2. কীটপতঙ্গ ও রোগবালাই দমন –
পার্সিমন গাছে অ্যাফিড, মিলিবাগ, ও স্কেল ইনসেক্টের আক্রমণ হতে পারে।
কীটনাশক বা জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে।
3. পরাগায়ন প্রক্রিয়া –
কিছু পার্সিমন জাত স্ব-পরাগায়ী, আবার কিছু জাতের জন্য পরাগায়নের জন্য অন্য গাছের প্রয়োজন হয়।
মৌমাছি বা বাতাস পরাগায়নে সাহায্য করে।
4. ফসল সংগ্রহ –
গ্রীষ্ম ও শরৎকালে (সেপ্টেম্বর-নভেম্বর) ফল সংগ্রহ করা হয়।
সম্পূর্ণ পাকা হলে ফল মিষ্টি ও নরম হয়।
উপসংহার
পার্সিমন একটি পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু ফল, যা সহজেই চাষযোগ্য ও লাভজনক। এটি স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিবেশবান্ধব চাষের জন্য উপযুক্ত। সঠিক পরিচর্যা ও ব্যবস্থাপনা মেনে চললে ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব।
Know More Details Just Call- 01861543144
Got Nursery Related Tips and Trikes Please Join Our Facebook Group
Reviews
There are no reviews yet.