Description
Khajoor Plant Saudi Arabia সৌদি খেজুর: পরিচিতি, চাষের নিয়ম ও পরিচর্যা
সৌদি খেজুর (Saudi Dates) বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ও পুষ্টিকর ফল। এটি মূলত সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, ইরানসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হয়। সৌদি খেজুর বিভিন্ন জাতের হয়ে থাকে, যেমন আজওয়া, মদিনা, আম্বার, সুকারি, মাবরুম, বারহি, খালাস, সাজাই ইত্যাদি।
সৌদি খেজুরের উপকারিতা
১. পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ
উচ্চমাত্রার কার্বোহাইড্রেট যা শক্তি যোগায়।
ভিটামিন A, B, C, K ও আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
২. হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক
এতে থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৩. হজমশক্তি উন্নত করে
ডায়েটারি ফাইবার থাকার ফলে এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
৪. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
প্রাকৃতিক শর্করা (গ্লুকোজ ও ফ্রুকটোজ) থাকায় এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
৫. গর্ভবতী ও শিশুদের জন্য উপকারী
গর্ভাবস্থায় আয়রন ও ক্যালসিয়াম সরবরাহ করে।
শিশুদের হাড় ও মস্তিষ্কের গঠন উন্নত করে।
সৌদি খেজুর গাছ লাগানোর নিয়ম
১. উপযুক্ত জলবায়ু ও মাটি
গরম ও শুষ্ক আবহাওয়ায় (৩০-৫০°C) ভালো জন্মে।
বেলে-দোআঁশ বা দোআঁশ মাটি খেজুর চাষের জন্য আদর্শ।
মাটির pH মান ৬.৫-৭.৫ হলে ভালো ফলন হয়।
২. চারা প্রস্তুতি ও রোপণের সময়
বীজ বা টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে চারা তৈরি করা যায়।
- যেকোনো সময় গাছ লাগানো যায়।
- তবে নিয়মিত পানি দিতে হবে।
- টবে বা মাঠে লাগানো যায়।
৩. চারা রোপণের পদ্ধতি
গর্তের আকার: ১ মিটার × ১ মিটার × ১ মিটার।
সার প্রয়োগ:
গোবর সার: ১০-১৫ কেজি
টিএসপি: ২০০ গ্রাম
এমওপি: ১০০ গ্রাম
চুন: ১০০ গ্রাম (যদি মাটি অম্লীয় হয়)
চারা বসানো:
চারাটি ২০-৩০ সেমি গভীরে বসিয়ে মাটি চেপে দিতে হবে।
প্রথম ৩ মাস নিয়মিত পানি দিতে হবে।
সৌদি খেজুর গাছের পরিচর্যা
১. পানি ব্যবস্থাপনা
প্রথম ৩-৪ বছর গাছের শিকড় গড়ে ওঠার জন্য নিয়মিত পানি দিতে হবে।
গ্রীষ্মকালে প্রতি সপ্তাহে ২-৩ বার পানি দিতে হবে।
বর্ষার সময় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
2. সার প্রয়োগের নিয়ম
প্রতি ৬ মাস পর পর সার দিতে হবে:
ইউরিয়া: ১৫০-২০০ গ্রাম
টিএসপি: ২০০-৩০০ গ্রাম
এমওপি: ১৫০-২৫০ গ্রাম
জৈব সার: ৫-১০ কেজি
৩. গাছের ডালপালা ছাঁটাই
অপ্রয়োজনীয় ও শুকনো পাতাগুলো ছেঁটে ফেলতে হবে।
গাছের নিচের অংশ পরিষ্কার রাখতে হবে, যাতে রোগবালাই না হয়।
৪. পরাগায়ন ও ফলন বৃদ্ধি
খেজুর গাছ নারী ও পুরুষ গাছ আলাদা হয়, তাই কৃত্রিম পরাগায়নের ব্যবস্থা করতে হবে।
পুরুষ গাছের পরাগ সংগ্রহ করে নারী গাছে প্রয়োগ করলে ফলন বাড়ে।
৫. রোগ ও পোকামাকড় দমন
লাল গুনো পোকা: কীটনাশক স্প্রে করুন।
ছত্রাকজনিত রোগ: প্রতি ১৫ দিন পর পর কপার অক্সিক্লোরাইড স্প্রে করুন।
গাছের গোড়া পচা: পানি জমতে দেওয়া যাবে না।
সৌদি খেজুর চাষের বাড়তি কিছু টিপস
গাছের গোড়ায় মালচিং (খড়, শুকনো পাতা) ব্যবহার করলে মাটির আর্দ্রতা ধরে রাখা যায়।
বাণিজ্যিকভাবে চাষ করতে চাইলে ড্রিপ ইরিগেশন পদ্ধতি ব্যবহার করা উত্তম।
প্রতি গাছের মধ্যে অন্তত ৬-৮ মিটার দূরত্ব রাখতে হবে।
টিস্যু কালচার গাছে ৩-৪ বছরেই ফল আসবে।
উপসংহার
সৌদি খেজুর চাষ একটি লাভজনক উদ্যোগ। বাংলাদেশে কিছু এলাকায় সফলভাবে চাষ শুরু হয়েছে এবং এর বাজার চাহিদা ব্যাপক। সঠিক পরিচর্যা ও পরাগায়নের মাধ্যমে উন্নতমানের খেজুর উৎপাদন সম্ভব। যদি পরিকল্পিতভাবে চাষ করা যায়, তবে এটি বাণিজ্যিকভাবে একটি সফল ফসল হতে পারে।
Know More Details Just Call- 01861543144
Got Nursery Related Tips and Trikes Please Join Our Facebook Group
Reviews
There are no reviews yet.