Description
Kiwi Fruit Plant
কিউই ফল: উপকারিতা, চাষের নিয়ম ও পরিচর্যা
(Kiwi) এক ধরনের সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল, যা মূলত শীতপ্রধান অঞ্চলে ভালোভাবে জন্মে। তবে বর্তমানে এটি বাংলাদেশেও সীমিত পরিসরে চাষ হচ্ছে। এটি ভিটামিন C, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।Kiwi Fruit Plant
কিউই ফলের উপকারিতা
১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
কিউই ফলে প্রচুর ভিটামিন C থাকে, যা শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে এবং সর্দি-কাশি প্রতিরোধ করে।
২. হজমশক্তি বাড়ায়
এতে থাকা ডায়েটারি ফাইবার হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
৩. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
কিউইতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
৪. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
এর লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকায় এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৫. ত্বক ও চুলের যত্নে কার্যকর
এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক উজ্জ্বল করে, বলিরেখা দূর করে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
কিউই গাছ লাগানোর নিয়ম
১. উপযুক্ত জলবায়ু ও মাটি
কিউই গাছ সাধারণত উচ্চতাপমাত্রার (১৫-২৫°C) ও আর্দ্র আবহাওয়ায় ভালো জন্মে।
উর্বর, দোআঁশ বা বেলে-দোআঁশ মাটি কিউই চাষের জন্য উপযুক্ত।
মাটির pH মান ৫.৫-৭.০ হলে ভালো ফলন হয়।
২. চারা রোপণের সময়
- যেকোনো সময় গাছ লাগানো যায়।
- তবে নিয়মিত পানি দিতে হবে।
- টবে বা মাঠে লাগানো যায়।
৩. চারা রোপণের পদ্ধতি
গর্তের আকার: ৫০×৫০×৫০ সেমি (১.৫×১.৫×১.৫ ফুট)।
সার প্রয়োগ: প্রতি গর্তে ৫-৭ কেজি গোবর সার, ১০০ গ্রাম টিএসপি, ৫০ গ্রাম এমওপি মিশিয়ে মাটি তৈরি করতে হবে।
চারা বসানো: চারা রোপণের পর গোড়ার মাটি ভালোভাবে চেপে দিতে হবে এবং প্রথম দিকে নিয়মিত পানি দিতে হবে।
কিউই গাছের পরিচর্যা
১. পানি ব্যবস্থাপনা
গ্রীষ্মকালে প্রতি ২-৩ দিন পর পর পানি দিতে হবে।
বর্ষাকালে অতিরিক্ত পানি জমে গেলে নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
শীতে কম পানি দিলেও চলে।
২. সার প্রয়োগের নিয়ম
প্রতি ৩ মাস পর পর নিচের সারগুলো প্রয়োগ করতে হবে—
ইউরিয়া: ১০০-১৫০ গ্রাম
টিএসপি: ১০০ গ্রাম
এমওপি: ৫০-১০০ গ্রাম
গোবর সার: ৫-১০ কেজি
বর্ষার আগে এবং শীতের শেষে একবার কম্পোস্ট সার বা জৈব সার প্রয়োগ করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়।
৩. গাছের শাখা ছাঁটাই ও পরিচ্ছন্নতা
গাছের অপ্রয়োজনীয় ডালপালা ছাঁটাই করলে গাছের আকৃতি সুন্দর হয় এবং ফলন বাড়ে।
গাছের নিচে আগাছা পরিষ্কার রাখতে হবে।
৪. পরাগায়ন ও ফলন বৃদ্ধি কৌশল
কিউই গাছে পুরুষ ও মহিলা ফুল আলাদা হয়, তাই পুরুষ গাছ (pollinator) রাখতে হবে।
প্রাকৃতিক পরাগায়নের জন্য মৌমাছির সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে।
৫. কীটপতঙ্গ ও রোগবালাই দমন
পাতা খেকো পোকার আক্রমণ হলে নিম তেল বা কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে।
ফল পচা রোগ হলে প্রতি ১৫ দিন পর পর কপার অক্সিক্লোরাইড স্প্রে করতে হবে।
গুঁড়া ছত্রাক হলে সালফারযুক্ত ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করতে হবে।
কিউই চাষের অতিরিক্ত টিপস
মাচা বা ট্রেলিস পদ্ধতিতে গাছকে ছড়িয়ে দিতে হয়, কারণ এটি লতানো প্রকৃতির গাছ।
টব বা ড্রামে লাগালে বড় পাত্র ব্যবহার করুন এবং লতা ছড়ানোর জন্য কাঠের খুঁটির ব্যবস্থা করুন।
প্রথম দিকে ফুল ঝরে গেলে চিন্তার কিছু নেই, গাছ পরিপক্ব হলে ভালো ফলন দেবে।
উপসংহার
কিউই একটি স্বাস্থ্যকর ও লাভজনক ফল, যা বাংলাদেশের কিছু এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে চাষ হচ্ছে। নিয়মিত পরিচর্যা, সঠিক পরাগায়ন ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ নিশ্চিত করলে ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব। বাণিজ্যিকভাবে চাষ করলে এটি লাভজনক হতে পারে।
Know More Details Just Call- 01861543144
Got Nursery Related Tips and Trikes Please Join Our Facebook Group
Reviews
There are no reviews yet.