Description
Malaysian durian fruit Plant
ডুরিয়ান ফল পরিচিতি, চাষ পদ্ধতি ও পরিচর্যা
পরিচিতি
ডুরিয়ান (Durian) ফলকে “ফলের রাজা” বলা হয়। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে (মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন) অত্যন্ত জনপ্রিয়। ডুরিয়ান গাছ উচ্চতা ২৫-৫০ মিটার পর্যন্ত হতে পারে এবং এটি ট্রপিক্যাল জলবায়ুতে ভালো জন্মে।Malaysian durian fruit Plant
ডুরিয়ান ফলটি বড়, ভারী এবং এর উপরে কাঁটার মতো শক্ত খোসা থাকে। এর স্বাদ ও গন্ধ খুবই শক্তিশালী, যা অনেকের কাছে মিষ্টি ও ক্রিমযুক্ত মনে হয়, আবার অনেকেই এর গন্ধ পছন্দ করেন না।
বৈশিষ্ট্য
ফলের আকৃতি: বড় ও গোলাকার বা ডিম্বাকৃতি।
ওজন: ১-৩ কেজির বেশি হতে পারে।
খোসা: শক্ত ও কাটাযুক্ত।
গন্ধ: খুব তীব্র ও স্বতন্ত্র, যা অনেকের কাছে আকর্ষণীয়, আবার অনেকের কাছে অস্বস্তিকর।
স্বাদ: ক্রিমি, মিষ্টি ও বাদামের মতো।
রঙ: ভেতরের শাঁস সাধারণত হলুদ বা কমলা বর্ণের হয়।
ডুরিয়ান ফলের উপকারিতা
১. পুষ্টিগুণ
ডুরিয়ানে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, বি-কমপ্লেক্স, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার, প্রোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।
২. স্বাস্থ্য উপকারিতা
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে।
হজমশক্তি উন্নত করে: ফাইবার থাকার কারণে এটি হজমে সাহায্য করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
হার্টের জন্য উপকারী: এতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
ত্বক ও চুলের জন্য ভালো: এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক উজ্জ্বল ও চুল স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে।
শক্তির ভালো উৎস: ডুরিয়ানে কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকায় এটি শরীরকে দীর্ঘ সময় শক্তি জোগায়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: এতে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা স্থিতিশীল রাখে।
ডুরিয়ান চাষের নিয়ম ও পরিচর্যা
১. উপযুক্ত জলবায়ু ও মাটি
ডুরিয়ান গাছ উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ুতে ভালো জন্মে।
গড় তাপমাত্রা ২৪-৩২°C হলে চারা ভালোভাবে বৃদ্ধি পায়।
দোআঁশ বা বেলে-দোআঁশ মাটি ভালো।
pH ৫.০-৬.৫ হলে গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পায়।Malaysian durian fruit Plant
২. চারা রোপণের সময় ও পদ্ধতি
- যেকোনো সময় গাছ লাগানো যায়।
- তবে নিয়মিত পানি দিতে হবে।
- টবে বা মাঠে লাগানো যায়।
গর্তের আকার: ৬০×৬০×৬০ সেমি।
গর্তে সার প্রয়োগ:
১০ কেজি গোবর সার বা কম্পোস্ট
২৫০ গ্রাম টিএসপি
১০০ গ্রাম এমওপি সার
৫ গ্রাম জিঙ্ক সালফেট
গাছ থেকে গাছের দূরত্ব:
১০-১৫ মিটার (কারণ গাছ বড় হয়)।
৩. সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা
শুকনো মৌসুমে সপ্তাহে ২-৩ বার পানি দিতে হবে।
বর্ষাকালে অতিরিক্ত পানি জমে থাকলে নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
গাছ লাগানোর প্রথম ৩ বছর পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ করা জরুরি।
৪. সার ব্যবস্থাপনা
প্রতি ৪-৬ মাস অন্তর জৈব সার (কম্পোস্ট/গোবর সার) দেওয়া ভালো।
রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হলে:
ইউরিয়া: ২০০-৩০০ গ্রাম/গাছ
টিএসপি: ১৫০-২০০ গ্রাম/গাছ
এমওপি: ২০০-২৫০ গ্রাম/গাছ
ফুল ও ফলের গুণগত মান ভালো করতে সালফার ও ম্যাগনেসিয়াম স্প্রে করা যেতে পারে।
৫. রোগবালাই ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা
শিকড় পচা রোগ: অতিরিক্ত পানি জমলে হয়, তাই নিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
পাতার দাগ রোগ: ছত্রাকনাশক স্প্রে করলে এই সমস্যা কমে।
ফল পচা রোগ: বাগান পরিষ্কার রাখা ও কীটনাশক প্রয়োগ করা দরকার।
থ্রিপস ও অ্যাফিড আক্রমণ: কীটনাশক বা নিম তেল স্প্রে করলে পোকা দমন করা যায়।
ফল সংগ্রহ ও ব্যবহার
ডুরিয়ান গাছ ৫-৭ বছর পর ফল দেয়।
ফল পরিপক্ব হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে গাছ থেকে পড়ে যায়, তবে বাণিজ্যিক চাষের ক্ষেত্রে ফল গাছে থাকা অবস্থায় সংগ্রহ করা হয়।
ফল কাঁচা ও পাকা দুইভাবেই খাওয়া যায়।
এটি জুস, স্মুদি, আইসক্রিম, কেক ও ক্যান্ডি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
উপসংহার
ডুরিয়ান একটি পুষ্টিকর ও সুস্বাদু ফল, যা বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক। এটি তুলনামূলক বেশি পরিচর্যা ও সময়ের প্রয়োজন হয়, তবে ফলন ভালো হলে চাষিরা প্রচুর লাভ করতে পারেন। যারা দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগে আগ্রহী, তাদের জন্য ডুরিয়ান চাষ একটি চমৎকার সুযোগ হতে পারে।
Know More Details Just Call- 01861543144
Got Nursery Related Tips and Trikes Please Join Our Facebook Group
Reviews
There are no reviews yet.