Description
Miracle Fruit Plant
মিরাকেল বেরি (Miracle Berry): উপকারিতা, চাষ পদ্ধতি ও পরিচর্যা
পরিচিতি:
মিরাকেল বেরি (Miracle Berry) বা Synsepalum dulcificum হল একটি ট্রপিক্যাল ফল, যা খাওয়ার পর মুখের স্বাদগ্রহণ ক্ষমতাকে পরিবর্তন করে। এটি মূলত পশ্চিম আফ্রিকায় প্রচলিত, তবে বর্তমানে এটি বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে চাষ করা হচ্ছে। Miracle Fruit Plant
বৈশিষ্ট্য:
ছোট, লাল রঙের বেরি।
মুখে রাখার পর যে কোনো টকজাতীয় খাবারকে মিষ্টি মনে হয়।
গাছটি চিরসবুজ এবং ৩-৪ ফুট পর্যন্ত উঁচু হতে পারে।
ফলের প্রধান সক্রিয় উপাদান মিরাকুলিন (Miraculin), যা স্বাদ পরিবর্তনের জন্য দায়ী।
মিরাকেল বেরির উপকারিতা:
1. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক – এটি প্রাকৃতিকভাবে খাবারকে মিষ্টি মনে করায়, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো বিকল্প।
2. ওজন কমাতে সাহায্য করে – কৃত্রিম চিনি এড়িয়ে স্বাস্থ্যকর ডায়েট বজায় রাখতে সহায়তা করে।
3. কেমোথেরাপি রোগীদের জন্য উপকারী – অনেক কেমোথেরাপি রোগীর মুখে তেতো স্বাদ হয়, যা এটি দূর করতে পারে।
4. প্রাকৃতিক সুগার বিকল্প – যারা চিনির ব্যবহার কমাতে চান, তাদের জন্য এটি দারুণ সমাধান।
5. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ – এতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
মিরাকেল বেরি গাছ লাগানোর নিয়ম:
১. মাটি ও জলবায়ু:
বেলে-দোআঁশ মাটি এবং হালকা অ্যাসিডিক (pH ৪.৫-৬.৫) মাটি এই গাছের জন্য উপযুক্ত।
উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ুতে ভালোভাবে জন্মে।
২. চারা রোপণের পদ্ধতি:
১২-১৮ ইঞ্চি গভীর এবং প্রশস্ত গর্ত তৈরি করতে হবে।
মাটির সাথে কম্পোস্ট বা পচা গোবর মিশিয়ে নিতে হবে।
৩-৫ ফুট দূরত্ব বজায় রেখে চারা লাগানো উচিত।
৩. আলো ও ছায়া:
আংশিক ছায়াযুক্ত স্থান এই গাছের জন্য ভালো, তবে সরাসরি সূর্যালোকেও জন্মাতে পারে।
মিরাকেল বেরি গাছের পরিচর্যা:
১. পানি সেচ:
গ্রীষ্মকালে নিয়মিত পানি দিতে হবে, তবে অতিরিক্ত পানি জমতে দেওয়া যাবে না।
বর্ষাকালে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
২. সার প্রয়োগ:
প্রতি ২-৩ মাস অন্তর জৈব সার (কম্পোস্ট, ভার্মি কম্পোস্ট) প্রয়োগ করা ভালো।
অল্প পরিমাণে নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশিয়ামযুক্ত সার দেওয়া যেতে পারে।
৩. গাছ ছাঁটাই:
গাছের ভালো আকৃতি বজায় রাখতে ছাঁটাই করা উচিত।
শুকনো বা রোগাক্রান্ত ডালপালা কেটে ফেলা উচিত।
৪. রোগ ও পোকামাকড় দমন:
এই গাছে সাধারণত বিশেষ কোনো রোগ হয় না।
তবে ছত্রাক সংক্রমণ এড়াতে ন্যাচারাল ফাঙ্গিসাইড ব্যবহার করা যেতে পারে।
অল্প পরিমাণ নিম তেল বা জৈব কীটনাশক প্রয়োগ করলে পোকামাকড় দূর রাখা যায়।
ফল সংগ্রহ ও সংরক্ষণ:
সাধারণত গাছ রোপণের ২-৩ বছরের মধ্যে ফল দেওয়া শুরু করে।
পরিপক্ব হলে ফল লাল রঙ ধারণ করে, তখন এটি সংগ্রহ করা যায়।
টাটকা অবস্থায় খাওয়া ভালো, তবে কিছুদিন ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যায়।
বাণিজ্যিক সম্ভাবনা:
মিরাকেল বেরি তুলনামূলকভাবে বিরল হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা অনেক বেশি
Know More Details Just Call- 01861543144
Got Nursery Related Tips and Trikes Please Join Our Facebook Group
Reviews
There are no reviews yet.