Description
Passion Fruit Plant
প্যাশন ফল (Passion Fruit) এর পরিচিতি, চাষ ও পরিচর্যা
পরিচিতি
প্যাশন ফল (Passiflora edulis) একটি ট্রপিকাল এবং সাবট্রপিক্যাল ফল, যা বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে খুব জনপ্রিয়। এটি এক ধরনের লতা জাতীয় গাছ থেকে পাওয়া যায় এবং এটি স্বাদে খুবই মিষ্টি, টক এবং সুগন্ধি। প্যাশন ফলের ভিতরে ছোট ছোট বীজ থাকে এবং এর রঙ সাধারণত বেগুনি বা হলুদ হয়ে থাকে।Passion Fruit Plant
বৈজ্ঞানিক নাম: Passiflora edulis
পরিবার: Passifloraceae
উৎপত্তি: প্যাশন ফলের উৎপত্তি দক্ষিণ আমেরিকা, বিশেষ করে ব্রাজিল, পেরু এবং পারাগুয়ে।
আকার ও রঙ: ফলের আকার ছোট, গোলাকার এবং সাধারণত বেগুনি বা হলুদ রঙের হয়।
স্বাদ: এটি টক-মিষ্টি স্বাদের এবং অনেকটা সুগন্ধি।
প্যাশন ফলের উপকারিতা
প্যাশন ফল একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল এবং এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। কিছু উল্লেখযোগ্য উপকারিতা হল—
1. ভিটামিন সি এর উৎস – প্যাশন ফল ভিটামিন সি এর একটি সমৃদ্ধ উৎস, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
2. হজমে সহায়ক – এতে থাকা ফাইবার পরিপাকতন্ত্রের জন্য ভালো, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
3. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে – পটাশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপস্থিতির কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
4. মনকে শান্ত করে – এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস ও ভিটামিন সি মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক।
5. ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী – ভিটামিন এ এবং সি ত্বককে উজ্জ্বল করে এবং চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।
6. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা – এতে কম ক্যালোরি এবং বেশি ফাইবার থাকায় এটি ওজন কমাতে সহায়ক।
প্যাশন ফল গাছ লাগানোর নিয়ম
১. মাটির ধরন
প্যাশন ফল গাছের জন্য সঠিক মাটি হলো হালকা বেলে-দোআঁশ মাটি, যাতে পানি নিষ্কাশন ভালভাবে হতে পারে।
মাটির pH ৬.০-৭.৫ হলে ভালো ফলন হয়।
২. বীজ বা চারা রোপণ
প্যাশন ফল গাছ সাধারণত বীজ বা কলম থেকে জন্মানো যায়।
বীজ থেকে চারা বের হতে ১-২ সপ্তাহ সময় নেয়, তবে কলম পদ্ধতিতে দ্রুত ফলন পাওয়া যায়।
- যেকোনো সময় গাছ লাগানো যায়।
- তবে নিয়মিত পানি দিতে হবে।
- টবে বা মাঠে লাগানো যায়।
চারাগাছ ৮-১০ ফুট দূরত্বে রোপণ করতে হবে, যাতে প্রতিটি গাছ পর্যাপ্ত আলো এবং বাতাস পায়।
৩. সেচ ব্যবস্থা
গরমের সময় নিয়মিত পানি দিতে হবে, তবে মাটিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হতে দেয়ার জন্য পর্যাপ্ত নিষ্কাশন ব্যবস্থা থাকা জরুরি।
বর্ষাকালে অতিরিক্ত পানি জমে না যেতে দেয়ার জন্য মাটির আর্দ্রতা বজায় রাখতে হবে।
৪. সার প্রয়োগ
প্রতি বছর গাছের বয়স অনুযায়ী ৫-১০ কেজি জৈব সার (কম্পোস্ট বা গোবর সার) দিতে হবে।
প্রতি ২-৩ মাস অন্তর ২০০-৩০০ গ্রাম ইউরিয়া, ১৫০-২০০ গ্রাম টিএসপি এবং ১০০-১৫০ গ্রাম পটাশ সার প্রয়োগ করা উচিত।
প্যাশন ফল গাছের পরিচর্যা Passion Fruit Plant
১. ছাঁটাই
গাছের বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত ছাঁটাই করা প্রয়োজন।
পুরনো, মরা বা রোগাক্রান্ত ডালপালা কেটে ফেলা উচিত।
ছাঁটাই করলে গাছ নতুন শাখা তৈরি করে এবং ফলন বৃদ্ধি পায়।
২. রোগবালাই ও কীটপতঙ্গ দমন
প্যাশন ফল গাছে সাধারণত পাতা ও ফলের পোকামাকড়, ছত্রাক এবং অন্যান্য রোগ দেখা দিতে পারে।
কীটনাশক বা জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করে পোকামাকড় দমন করা যেতে পারে।
ছত্রাকজনিত রোগের জন্য ছত্রাকনাশক স্প্রে করা যেতে পারে।
৩. পরাগায়ন
প্যাশন ফলের বেশ কিছু জাত পরাগায়নকারী পোকামাকড়ের উপর নির্ভরশীল, বিশেষ করে মৌমাছি।
গাছের পরাগায়ন বাড়াতে মৌমাছি বা অন্যান্য পরাগায়নকারী প্রাণী প্রচুর পরিমাণে থাকতে হবে।
কিছু জাতের জন্য পরাগায়নের জন্য একাধিক গাছ প্রয়োজন হতে পারে।
৪. ফল সংগ্রহ
গাছের ফুল থেকে ফল ধরে ৩-৪ মাস পর পাকা ফল সংগ্রহ করা যেতে পারে।
পাকা ফলের গা dark ় বেগুনি বা হলুদ রঙের হবে এবং খুবই সুগন্ধি হবে।
ফল পাকার পর দ্রুত সংগ্রহ করতে হবে, কারণ পাকা ফল সহজেই নষ্ট হতে পারে।
উপসংহার
প্যাশন ফল একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর ফল, যা চাষ করা সহজ এবং উপকারী। এর গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে অনেক ফলন পাওয়া যায়। প্যাশন ফল খাওয়া ছাড়াও বিভিন্ন খাবারে এবং পানীয়তে ব্যবহৃত হয়, যেমন: জ্যাম, জেলি, স্মুদি ইত্যাদি। সঠিক যত্ন ও পরিচর্যা নেওয়া হলে প্যাশন ফল চাষ থেকে ভালো আয় পাওয়া সম্ভব।
Know More Details Just Call- 01861543144
Got Nursery Related Tips and Trikes Please Join Our Facebook Group
Reviews
There are no reviews yet.