Description
Tal Fruit Tree Plant তাল ফলের উপকারিতা, গাছ লাগানোর নিয়ম এবং পরিচর্যা
তাল (Asian Palmyra Palm বা Borassus flabellifer) গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলের একটি জনপ্রিয় ফল, যা পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং নানাবিধ উপকারিতার জন্য পরিচিত। এটি শুধু ফল হিসেবেই নয়, গাছের অন্যান্য অংশও বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা হয়।
তাল ফলের উপকারিতা
১. পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ
তালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, সি, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন ও প্রাকৃতিক শর্করা, যা শরীরের জন্য উপকারী।
২. গরম থেকে আরাম দেয়
গরমের দিনে তালশাঁস খেলে শরীর শীতল হয় এবং ডিহাইড্রেশন দূর হয়।
৩. হজমশক্তি বৃদ্ধি করে
তাল কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে এবং হজম শক্তি উন্নত করে।
৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
তালের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৫. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
তাল কম ক্যালোরিযুক্ত ফল হওয়ায় এটি ওজন কমাতে সহায়ক।
৬. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
তালে প্রাকৃতিক শর্করা থাকলেও এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো।
৭. ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী
তাল ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং খুশকি দূর করতে সাহায্য করে।
তাল গাছ লাগানোর নিয়ম
১. মাটি নির্বাচন
তাল গাছ দোআঁশ বা বেলে দোআঁশ মাটিতে ভালোভাবে জন্মে।
পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালো থাকা প্রয়োজন।
২. বীজ সংগ্রহ ও প্রস্তুতি
ভালো মানের পরিপক্ব তাল বীজ নির্বাচন করতে হবে।
বীজ থেকে চারা বের করার জন্য তাল গাছের বীজ ৭-১০ দিন পানিতে ভিজিয়ে রাখা যায়।
৩. চারা রোপণের সময়
- যেকোনো সময় গাছ লাগানো যায়।
- তবে নিয়মিত পানি দিতে হবে।
৪. চারা রোপণের পদ্ধতি
গর্তের আকার ৫০ সেমি × ৫০ সেমি × ৫০ সেমি হতে হবে।
গর্তে জৈব সার (গোবর বা কম্পোস্ট) মিশিয়ে বীজ বা চারা বসাতে হবে।
প্রতি গাছের মধ্যে অন্তত ১০-১২ মিটার দূরত্ব রাখতে হবে, কারণ তাল গাছ বড় হয় এবং অনেক জায়গা নেয়।
তাল গাছের পরিচর্যা
১. সেচ ব্যবস্থা
তাল গাছ সাধারণত কম পানিতেও টিকে থাকে, তবে প্রথম দুই বছর নিয়মিত সেচ দিতে হবে।
বর্ষাকালে অতিরিক্ত পানি জমতে দেওয়া যাবে না।
২. আগাছা দমন
চারা অবস্থায় গাছের চারপাশের আগাছা পরিষ্কার রাখতে হবে, যাতে পুষ্টি শোষণে বাধা না আসে।
৩. সার প্রয়োগ
বছরে দুইবার গোবর সার, কম্পোস্ট বা জৈব সার দিতে হবে।
বৃদ্ধির জন্য নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশ সার প্রয়োগ করা যেতে পারে।
৪. পোকামাকড় ও রোগ দমন
তাল গাছে সাধারণত পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয়, তবে মাঝেমধ্যে শুঁয়োপোকা বা ছত্রাকজনিত রোগ দেখা দিলে কীটনাশক বা জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে।
৫. ছাঁটাই (Pruning)
গাছের অতিরিক্ত শাখা ছাঁটাই করলে গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
শুকিয়ে যাওয়া বা ক্ষতিগ্রস্ত ডালপালা কেটে ফেলা উচিত।
৬. ফল সংগ্রহ
তাল গাছ সাধারণত ৭-১০ বছর পর ফল দেয়।
পরিপক্ব তাল সাধারণত আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর মাসে সংগ্রহ করা হয়।
উপসংহার
তাল একটি অত্যন্ত উপকারী ও টেকসই গাছ, যা একবার রোপণ করলে শত বছর পর্যন্ত ফল দিতে পারে। এটি শুধুমাত্র সুস্বাদু ফলই নয়, বরং পুষ্টিগুণ ও পরিবেশগত দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক পরিচর্যা ও যত্ন নিলে তাল গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং বেশি ফলন দেয়।
Know More Details Just Call- 01861543144
Got Nursery Related Tips and Trikes Please Join Our Facebook Group
Reviews
There are no reviews yet.